Post Bottom Ad

Untitled-1.png

সাম্প্রতিক লেখা

বাংলা সাহিত্যের প্রতিষ্ঠানবিরোধী লিটিলম্যাগাজিন ব্লগ

Responsive Social Login Form

Resize the browser window to see the responsive effect. When the screen is less than 450px wide, make the two columns stack on top of each other instead of next to each other.

Login with Social Media or Manually

or

Or sign in manually:

Feat

Carousel

গদ্য

Responsive Ads Here
প্রতিষ্ঠানবিরোধিতা কোনো ফ্যাশেনবল বিষয় নয়, যা দিয়ে আপনি নিজের পাছায় একটা সীলমোহর লাগিয়ে ঘুরে বেড়াবেন...

এজন্য ছোটকাগজে সাহিত্যেচর্চ্চা শুরু করার জন্য মুভমেন্ট পাঠ্যের প্রসঙ্গে বিভিন্ন দিক সম্পর্কে গভীরভাবে চিন্তা করতে প্রলুব্ধ করে! যে রাজনীতিবীদ আন্দোলন,সংগ্রাম, জেল খাটতে খাটতে সমস্ত জীবন খুইয়েছেন, তার তুলনায় যে লোকটা থিয়েটার বা লিটলম্যাগ করতে করতে ফতুর হয়ে গেছেন, তার অবদান কোনো অংশেই কম নয়।
-সৈয়দ তৌফিক উল্লাহ

Gallery

আপনার শুরুতে আবার শুরু করুন ও অনান্য কবিতা│সৈয়দ তৌফিক উল্লাহ


আপনার শুরুতে আবার শুরু করুন ও অনান্য কবিতা│সৈয়দ তৌফিক উল্লাহ

এক.

আপনার শুরুতে আবার শুরু করুন

 

মানুষেরা খুবউজ্জ্বল আলোতেচোখখুলেদেখে

অপরিহার্য বনসাইহবারবিদ্যাশিখেফেলেছে

চারপাশে রঙিনপ্রেমের বান্ডিল জীবনেরমধ্যদিয়েযাওয়ার সময়

আমরাযেঅভিজ্ঞতার মুখোমুখি হয়েছিপ্রতিদিনের লড়াইএবংবিজয়গুলি

বিশ্বের সমস্তপ্রাণইঅনুভবকরছেঅথচপৃথিবীর

সময়থমকেআছেআমাদেরঅপরাধে

 

সভ্যমানুষ প্রকৃতির কাছেমুখদেখাবার যোগ্যতা হারিয়েআজ

মুখোশআবৃতহয়েগেছে, তবুওলাজ-লজ্জাহীন মানুষেরদল

কতদিনইবা লুকিয়ে রাখবেনিজেদের গৃহেরগুহায়?

সামাজিকতার মানেপাল্টেনিমিষেই হয়েগেলদূরত্বনির্বাণের পথ

পুরাতনজীবনকেএতভালবেসে একসাথেকাটিয়েছি তাহলো ছোঁয়াচে,

অপরিবর্তিত আমরাএকেঅপরেরকাছেছিলামযাইএখনওআমরাআছিতাই,

জীবনএরঅর্থযাবোঝায়তারসবকিছুযেমনছিলঠিকতেমনরয়েছে

শুধুনিরঙ্কুশ মৃত্যুর ধারাবাহিকতা ছাড়াসবইঅটুটআছে

 

কিছুইহারিয়ে যায়নাঅলসদুচোখে ঘুমিয়ে-ঘুমিয়েক্লান্তিরভারে স্বপ্নহীন

বিষন্নতার ঘেরাটোপের নিসঙ্গতা আক্সিজেনের মতোআজপ্রয়োজনীয়

আর্য-অনার্য বিন্যাসের নবযাত্রায় হয়তোসৃষ্টিহবেবৃক্ষের মতপ্রবীণভাষ্কর্য

অতঃপরএকদিনসমস্তকিছুআগেরমতইহবে, মহাকালের কিছুইহারিয়ে যায়না

ক্ষমাহীন -গণিত মিনিট পূরণকরতেপারেনযদি
-গণিত ষাট সেকেন্ড মূল্যের দূরত্বপাড়িদিয়ে
অন্তরালের  অপেক্ষা শেষহবেএকদিন!

 

সুদিনের খুবকাছাকাছি সময়েপৃথিবীএবংএরমধ্যেযাকিছু
সবকিছুইপ্রত্যাবর্তনের জন্যঅধীরআগ্রহেঅপেক্ষারত!

 

দুই.

আয়না ভীতি

 

হতদরিদ্রের মুখএখনআয়নায় আরদেখাযায়না

আয়নারওপাশেহায়নার অট্টহাসি ভেসেআসে

পাঁজরের হাড়গুলো বুকহতেবেরহয়েআসতেচায়

চোখগুলোকোঠরেঢুকেগেছে

                 কপাল জোড়াদুশ্চিন্তার ছাপচিত্র

ভাগ্যরেখাগুলো কপালেজানি

কর্পোরেট আবাসগড়েছেআর

                    খুবলে খাচ্ছেমগজেরস্পার্কিং

জীর্ণশীর্ণ দেহখানি নিজেরইদেখেভয়হয়

                            ওটা কি আমি?

নাকিআমারপ্রেতাত্মা!

 

অনেকদিন হলআয়নাদেখাছেড়েদিয়েছি,

এখনআয়নাইআমাকেদেখেফেলে!

 

তিন.

ভবিষ্যতের জন্য একটি কবিতা 

 

বুনোফুলেরছায়ায় অবারিতবাতাসে
অন্ধকার জলেরঘোরকাঁটারআগে,

কারুকৃত আলোরআত্মপ্রকাশকারীরা
নগ্নপদতলেবিধতেজোৎস্নার স্প্লিন্টার

চারদিকে মরীচিকার-ব্যারিকেড
জলেরজপমালাবিস্তৃত করে

চোখবন্ধকরিপ্রতিসৃত প্রবলবৃষ্টিতে

ভালবাসা হতেহবেশারীরবৃত্তীয় প্রয়োজনীয়তায়

অক্ষতথাকারসময়নাভিথেকেউপরেরশূন্যচিহ্নপ্রতিফলিত হয়ে

 

শয্যাশায়ী পর্বতমালার আগে,

সবকিছুইদেখাযায়কিন্তুদেখাযায়না

চোখেরফাঁকগলেবেরিয়েআসাজলজধারা

আমিযাস্পর্শকরছিতাতুমিনও;-
আমারউপত্যকা সম্পূর্ণ নগ্নকাঁটাআরঅন্ধকার জলের

বিচ্ছিন্নতার বিষাদেচকচকেরটনারা

বরাবররটেযায়একেরপরএক

 

যেতেযেতেআমাদেরহাড়গুলো, মাথারখুলিগুলো,
বারবারচূর্ণকরে পিচ্ছিল শরীরেআঙ্গুলের ছাপরেখে
পাখিরাগোপনরহস্যআমাকেজানিয়েদেয়

 

মৃত্যুচিন্তায় নিরর্থক স্থানান্তর যাত্রার প্রতিটি পর্যায়ে

গণকবরদিয়েপ্রসারিত হয়ভূমিররক্তএরভিতরেভাসমান
সঙ্কুচিত বরফখণ্ডভরা একগ্লাস নীরবতা

মেঘাচ্ছন্ন বিশৃঙ্খলা নিয়েশব্দগুলিতে মোড়ানো

আনন্দময় বিভ্রান্তির প্রয়োজনীয় অন্ধকারে বিঁধে

অন্ধকার কাটিয়ে উঠতেচেষ্টাকরছি


এইঝলমলেঅন্ধকারে কিছুইদেখারনেই,

হয়তএজন্যইএকেঅপরকেলঙ্ঘনকরে

সবাইরাস্তায় আমারপাশদিয়েচলেযায়

 

চার.

সত্যিই আমরা এখনো হাল ছাড়িনি

 

প্রতিদিন আমরাএখনওএগিয়েযাচ্ছি

নতুনদিননতুনজীবনেরজন্যনতুনগল্পনিয়ে

 

আগুনেরহল্কাস্পর্শকরে,

আমাদেরমধ্যেসমস্তআগুনেরপুনরাবৃত্তি ঘটাই,

শিরাগুলিতে গভীরভাবে ছড়িয়েদিইতারউত্তাপ

যেকঠিন সময়গুলি আমাদেরমনখারাপছিলবাআছে

সহজেইকিজীবনথেকেমুছেফেলতেপারি,

তাইদাহ্যকরিপ্রণয়ের জড়তাছুড়েফেলে

এগিয়েযাইহয়তোহবেমায়াময়আগামীকাল

একটিনতুনদিনআরএকটিনতুনজীবনেরজন্য

 

যদিঅল্পঅল্পকরেকেউআমাদেরভালবাসা বন্ধকরে

আমরাওভালবাসতে ভালবাসতে ফতুরকরেদেব

প্রেমীরা হারিয়ে গেলেওআমাদেরভালবাসা,

একান্তআমাদেরনিজেদের মত,

আমাদেরমধ্যেকিছুইনিভানোবাভুলিয়েদেওয়াযায়না,

আমাদেরভালবাসা কখনইহারিয়েযায়না

 

যদিতুমিআমাদেরভুলেযাও

হেনিসঙ্গতার শৃঙ্খল ভাঙ্গা দেবদূত!

আমরাতোমাকেজানিয়েদিতেচাই

জীবনেরপথেকোনওদিকনির্দেশনার তোয়াক্কা করিনা

 

তারপরওকখনকেউযদিআমাদেরভুলেযায়

দয়াকরেখুঁজোনা,

অন্ধকারকে বিদায়জানানোর মতো

আমরাওতোমাদের ভুলেযাব!

 

পাঁচ.

অস্পষ্ট গানের শেষ জ্যা

 

প্রকৃতির কাঁদছে, কাঁদুক;

মানুষমরছে, মরুক;

 

আমাদেরশান্তিবোঝায়, যাদামেরবাইরে

আগুনেরজমিনপুনরুদ্ধার, সবুজকরেতোলে

দূরত্বের বেড়াতৈরিকরি, শত্রুকে দূরেরাখতে

যেকখনওঅর্থ, বাবস্তুগত সামগ্রীর জন্যপোড়েনা

 

তাইমহামারী আরমহাউৎসব একহয়েযায়

প্রতিদিন সকালথেকেরাতঅবধিমানুষের ভিড়

সুরক্ষা কবচগুলেখাওয়ালেও মানবিকবোধজাগে না

ঢপেরনীতিকথায়স্বদেশশাষনেস্ববিরোধীতা চলেনা

বেনজির বেহাইয়পণা তবুআমাদেরপিছুছাড়েনা

 

নিরর্থক স্থানান্তর আরওগভীরেডুবেযায়

আমাদেরনিজস্ববিচ্ছিন্নতা নিশ্চিত করে

আমরাএকটিডুবন্তপৃথিবীর ভয়ঙ্কর সময়অনুভবকরছিনা?

তবুকেনআমরাআবারবেঁচেথাকারমতোস্বপ্নদেখি!

 

ফ্যালফ্যাল করছেআমাদেরবাঁচা-মরা

অন্ধকার মাধ্যমে গভীরউষ্ণতানিয়ে

সংক্রমিত করছেশেষবারের মতোপৃথিবীর যতশুভ্রতা

অপ্রত্যাশিত নিখুঁতভাবে সবাইহঠাৎকফিনটিবন্ধকরেদেয়

 

ছয়.

মাতাল হয়ে যাওয়া নামটি আমার

 

একটিঅলৌকিকঘটনাঘটছে

সৃষ্টির শুরুথেকেই,


এইমুহুর্ত পর্যন্ত বিশ্বাস ভালবাসা রক্ষায়

কারাজানি নীলশিরাগুলিকে ঠান্ডাকরেদিয়েছিল
আমিএকটিস্ফটিকমাতৃগহ্বরের গভীরতায় নিজেকেখুঁজেপাই,

আতঃপরযৌবনেরভিতরে, একটিআলোযাস্থিরথাকেরূহুরমত
আমিযাবলতেচাইছিতা-তুমিই


যেভালোবাসা এখনওঅন্যেরজন্যপ্রাণদেয়নি!
যেসত্যএখনওআবিষ্কার হয়নি!
যেভুলেযাওয়াতাকেরপুরাতনবই, এখনওপড়াহয়নি
যেমানবিকতার শিক্ষাপরিবারথেকেপেয়েছেমানুষ, অথচতারপ্রয়োগকরেনি!

হয়তোবাএজন্যইআমিবারবারজীবিতহয়েউঠি

 

তাইআমিযেদিকেতাকাই,
দেখিপথভ্রষ্ট দৃষ্টিভঙ্গির মিথ্যাবন্ধুত্বের রূপান্তর
পরিবর্তে আমিএকটিউজ্জ্বল বসন্তদ্বারাধুয়েফেলিনিজেকে
কবিতাআবৃত্তি করতেথাকি, কাপুরুষদের কারওকারওচোখেজ্বলতে-জ্বলতে,

যখনআমিএইপৃথিবীতে প্রথমপারেখেছিলাম,
আমারনিজেরশরীরদিয়েজরায়ুরফুলহয়েফুটেছিলাম,

টেরপেয়েছিলাম কিমায়েরনরকযন্ত্রণার সেইনগ্ননাড়ীরটান?


আমিমাতৃত্বের যুগদেখেছি,

আমিপিতৃত্বের যুগদেখেছি,

অনুভবকরেছিকেউকেউআমার

বুকেরউপরকোমলহাতেরচিহ্নরেখেযেতেযেতে

আমারদেহেরসেইসবঅনুভবসংগীতের সাথেঅনুরণনকরেচলেঅদ্যবধি


নিরর্থকতা যাঁরাগভীরঅন্ধকার সমানগোলাপকে বুলেটেপরিণতকরেছে,

বিপর্যয় ঘটাবেবলেইতিহাসের লজ্জাজনক বেদনাদায়ক

উত্তরণের দরজাঅবরুদ্ধ করিআরবারবারআটকেদিইসেইখিলান

 

জীবনেরউপরআপোষকরারজন্যউন্মুখ

কাপুরুষদের বিভ্রান্তির সেইকৃত্রিম বৃত্তটি ভেঙেফেলতে

পুরানোদাঁতেরমতোপড়েগিয়েআবারগজিয়েউঠি

হয়তোবাএজন্যইআমিবারবারজীবিতহয়েউঠি


এইবাড়ি, যারভোরজুড়েছড়িয়ে পড়েছেআমাদেরআলোকময়স্মৃতিপট,
প্রতিমুহূর্তে আমিআমাদেরকে আনন্দউদযাপনের জন্যদেখবোবলে,

যদিওবাআমিএকটিবিস্ফোরণের তাজাশেলহাতেএবংপাঁজরের বুলেটগুলি দিয়ে

আমারজীবনকেস্পন্দিত করছি, আমাদেরবাসযোগ্য ধারিত্রীকে

যেকাপুরুষদেরদল ঠেলেদেবেমৃত্যুর দিকেতাপ্রতিহত করতে

যদিওবাআমিক্ষুদ্র মানুষ, প্রবৃত্তিগুলি সংকুচিত হয়েগেছে,

তারপরওএজন্যইআমিবারবারজীবিতহয়েউঠি

 

সাত.

কবিদের জীবনের মার্জিনগুলিতে মরিচা পড়েছে!

 

সময়েরক্ষতিগ্রস্থ চিহ্ননিয়েগর্বকরেছেন অসুস্থসমাজের ছায়াগুলি

তাদেরনিজস্বআকারনিয়েতৃপ্তির ডেকুরতুলছে

সভ্যতার ত্রিপক্ষীয় বিরোধীতায় ক্লান্ত;-


ডানহাতি, বামহাতী, শূন্যতা,বিচ্ছেদের গল্পলিখতেগিয়ে

ধৈর্যের আলোরামারাগেছে, কান্নারা শুকিয়েগেছে
প্রতিরাতেরক্ষুধার্ত প্রেমের চোখে,আমাদের ভিতরে,

গ্রীষ্মে জেগেওঠারমতো, কাব্যিক ওহিআসে

গোপনেআমাদেরশব্দগুলি যেআকারনিচ্ছিল
আকারবদলানোঅক্ষরের মাঝে, গোলমালে বসন্তআমাদেরপ্রতিটি কোষে,

শব্দগুলির জন্যনিজেদের হারিয়েযেতেদিইনিসামাজিক বিচ্যুতি থেকে।


কবিদেরস্বগোপন উজ্জ্বলতা কেউকিজানেনা?
প্রথাবিরুদ্ধ অর্থেরঅনুপস্থিতি কেউকিবুঝতেপারেনা?

 

আত্মগোপনের জায়গাথেকে

আমরাবেরহয়েআসিনবীরনয়কবিরবেশে।

আমাদেরশব্দগুলি ভয়েফিসফিসকরেবলেছিল

আপনারমুখেআগুনধরিয়েদেবে,
অভিনবশব্দেরসাথেসময়েরমিম্বার থেকে
তাদেরমিথ্যাকথাবলাস্বভাভজাত গোখরারমতসত্য

 

মৃত্যুর স্ফটিককরিডোরদিয়ে, আমাদেরসময়এখনচলছে,
একটিকঠিনভ্রমণের মধ্যদিয়ে, আমাদেরচারপশে

যেখানেআন্তরিক সম্ভাব্য মৃতরাবাসকরছে

 

সামাজিক আয়নারচোখেএতদ্রুতপাল্টেযাবেমুনাফার অংক-কষা

তখনআয়নারপ্রতিচ্ছবি অনেকগুলি পরিবর্তনের স্লাইডশো দেখিয়েদেবে
এযেনশূন্যতার মধ্যদিয়েএকটিসামাজিক প্রথাবিরুদ্ধতার উত্তেজনায়

আমাদেরশব্দরাবিস্ফোরিত হয়েছড়িয়েপরবেসময়েরবারণভেঙে


বাজরীআগুনেরসাথেবন্ধুত্ব করেছেন, পুঁড়েছাইহয়েযাবেন

আবারওকবিরামুখোমুখি হবোছদ্মবেশী বুর্জোয় শত্রুদের সাথে,
আবারওবিশ্বাসঘাতকতার মুখোমুখি হবো,

প্রতারিত হবোজেনেওতবুআমাদেরথামানোযাবেনা।

 

আট.

শেষ অধ্যায়ের পর্যবেক্ষণ

 

আমারপাঁজরের অপরাধময় বাতাসপ্রায়বন্ধযেকোনওসময়সূর্যের মতঅস্তাচলে ঢলেপড়বে,

প্রিয়পাঁপেরজন্যক্ষমাপ্রার্থনা করাহয়নি, আবারগণনাকরেআবিষ্কার করছিবুক-পাঁজরের কয়টি ছিদ্র, জরায়ুর কয়টিপাঁজরজুড়েতারজিভপ্রসারিত করে,কব্জির হাড়ের স্তূপএবংকয়েকটি মেরুদণ্ডের একটিখুলি

রাতেরবেলায়খুলিরঅক্ষটিনিষ্পত্তির প্রাচীনতম গ্রাফিতির চোখনিয়েনিচ্ছীদ্র পড়েথাকবে।যখন সমস্তকিছুশীতলহয়েএসেছিল, আলিঙ্গনের জন্যআমারহাতখুললাম,তার ঘ্রাণের গন্ধপাবারসম্পূর্ণ ব্যার্থ চেষ্টাকরছিনিজেকেশান্তরাখারপ্রত্যাশায়

 

সংকুচিত শিকড়ের চেয়েপুরানোবাস্তববাদী একটিকফিনঅপেক্ষারত, আমারসমস্তসম্পত্তি, বই, পড়ারটেবিল-চেয়ার, এ্যাশট্রে সবনির্বাক হয়েপড়েছে, দেখছেআমিআরকবিতাপড়ারঅপেক্ষায় নেই, আমিপ্রস্তুতি নিইনির্জনকফিনেশুয়েকবরেরনীচেশয্যাশায়ী হবারশবযাত্রার, আমারদুইহাতথেকেউভয়পাশেরআঙুলসমেতনখেরাওজানেযেআমারঅন্তহীন বৃত্তের সময়শেষ

 

আমিকিন্তুজানিনা, কীভাবেশুরুহয়কবরেরনীচেজনাকীর্ণ দীর্ঘঘন্টারপরঘন্টা, প্রশ্নোত্তর-জিজ্ঞাসার উত্তরপর্ব? দেহেরহাড়েরা অনার্যছিলআমারআটকুঠরীনয়দরজায়, এরপরেস্যাঁতসেঁতে হাড়গুলি সাজিয়ে সবচেয়ে অপরিহার্য বাঁচারমিথ্যেনেশালুণ্ঠনকরেরূহু, অজ্ঞতার বাইরেঅভিনয়ে কাটিয়েছি সর্বদাআমারজীবনকালে, যেতেহবেজেনেওপ্রস্তুত হইনিকতটানানির্বোধ ছিলাম?

 

শেষবারঅতীতযেনমিটিমিটি হেসেদূরহতেসূর্যের ছত্রাকযুক্ত ক্ষতথেকেকেবলআমারপতনপর্যবেক্ষণ করে।অথচএকদাআমিবাড়ারবাল হরিদাসপালহয়েছড়িঘুরাতাম। ধরারেকরতামনাসরাজ্ঞান, মানুষতুমিশুধুইমাটিরখেলনাবিশেষ, মেয়াদফুরালেই তুমিনেই, একদাছিলেহয়েযাবে

 

নয়.

লাশকাটা ঘরে ব্যাবচ্ছেদের আগে

 

লাশকাটা ঘরেধোয়াওড়াবরফেরচাইগলেতৈরিহচ্ছেনকলস্রোতের টান, অতলগহ্বরেতলিয়েগেছসবদাহ্যকাল, শুধুসময়নামকঘূনপোকা, মাছিদের ওড়াউড়ি, কর্পুরআরচায়েরপাতিরসাথেবরফগলাজলেভিজেযায়হুগলারমাদুরেমোড়ানোনিথরশরীর

 

লোকজনের হাকডাক, যেনবিদেয়করলেইওরাবাচে।পড়শিদের নকলকান্না, ডোমদেরহাতের, ছেনী-বাটালীর টুকটাক ছন্দে গুনগুনমাতালগানমৃতরা সবইটেরপায়করারথাকেনাকিছু।শুধুছড়িয়েথাকাপা'দুটো গীটবাধা থাকে, জন্মান্তরের নাড়িকাটা ব্যথারখাতাবন্ধ হলো

 

চমৎকারএইতোজীবন, কড়াবেন্জীনের গন্ধে,

উলঙ্গশরীরেনিথরদেহনিয়েআপেক্ষায় পড়েথাকা,

মর্গেরদরজাদিয়েডাক্তার আসলেইশরীরেরব্যাবচ্ছেদ হবে

 

মর্গেরবাইরেমানুষের কোলাহলে হঠাৎ

বন্ধ্যা কোননদীনারীরমতরাতেরআকাশে

অতীতথেকেযেমূলতবেদনারমধ্যেথেকেও

এইআলোরআঁধারেও  নিথর শরীরেতারারঝলকদেখায়

 

জীবনজুড়েশুধুপলকইফেললাম, দেখাহলোনাকিছুই

প্রস্থানে সবআলোআঁধারহয়েযায়

জীবনএকটাশকুন, ওরওড়াচাই

তাইতাড়াহুড়ো আরঅস্হিরতার নিস্তার নাই

 

দশ.

সাজানো গোছানো কৃত্রিম শব্দবন্ধ 

আমাদের আঙুলগুলো প্রজাপতির ডানা হলো'না
শুধু দেখতেই থাকলোফ্যাকসে ঠোটগুলো মৃত্যুর নামতা

আওড়াতে থাকে ফ্যালফ্যালে চোখের ভাষায়
পাঁজরের হাড়ের বোবাব্যাথাভূমি  ভাতের চাহিদা
কেউ কি পেরেছে পাড়ি দিতে!

 

কবুতরের কেটে দেওয়া ডানার মতো ব্যাথায় কাতর স্বরে,

যীশুখ্রীষ্টের পুনরুন্থান এর মতো বিশ্বাসী আত্মায়

 গোপন গ্রেনেড আর বারুদে পোড়া সব দুপুর,

সব ভোরজীবন মানেই ষড়যন্ত্রের মৃত্যুকূপ

সময়ের ঔদ্ধত্য হয়ে গেছে আভিজাত্য
হয়ে উঠেছে ক্ষমতা শ্রেণী বৈষম্যের মানদন্ড।

 

শুধু কেউ বোঝেনি নাড়ীকাটা প্রসূতি মায়ের ব্যাথা।

 

যে প্রাচুর্য নিয়ে মানুষের অহংকার ছিল

সেটা গর্ভেই বিনাশ হয়েছেবিপ্লব এখন মানুষের নাম
আন্দোলন বা প্রতিবাদ নয়।

 

এগারো.

আমি দৃষ্টির বাইরে থাকায় কেন আমি মনের বাইরে থাকবো?

প্রত্যেকে বলে জীবন সহজ,
তবে সত্যিকার অর্থে এটি বেঁচে নেই

 

সময় কঠিন হয়ে যায়
যদিও আমি কাঁদতে চাই
আমি বাঁচতে লড়াই করতে যাচ্ছি,
যদিও আমি মরতে চাইছি

 

আমি গর্জনের মাঝে দাঁড়িয়ে আছি
একটি উত্তেজনাকর তীরে
এবং আমি আমার হাত ধরে

 

দুঃখের সাথে আমরা নিজের মন হারিয়ে ফেলেছি,
ভয় নেইসব পুনরুদ্ধারেআমার সব কিছু পিছনে ছেড়েছি

ঠিক চাঁদের মতোসূর্যের মতো,
জোয়ারের নিশ্চয়তার সাথে,
আশা যেমন উচু হয়,
একটি রাতে বা একটি দিনে

 

যা আমরা দেখি বা দেখিনাতা
একটি স্বপ্নের মধ্যে একটি স্বপ্ন কিন্তু

আমি একটি কালো সমুদ্রলাফিয়ে  প্রশস্ত,
সামুদ্রিক জোয়ার সহ্য করে পড়ি দিচ্ছি।


 সন্ত্রাস  ভয়ের রাত্রি রেখে যাওয়া স্বপ্নের ঘুম ভেংঙে
আমি আচমকা জেগে উঠি
যা আমরা পছন্দ সমগ্র মহাবিশ্ব জুড়ে ফিরিয়ে আনব বলে
এখন থেকে সব কিছু পাল্টে ফেলেছি
ছিড়ে দিয়েছি সব সর্বনাশা বির্নিমাণ 

 

হয়ত সকলেই একদিন চারদিকে জড়ো হবে 
আগুনের দিব্বী দ্রোহের লাভার স্রোতে ভেসে 
আমার প্রত্যাবর্তনের হবে অধীর আগ্রহে উত্তেজিত 
দৃষ্টির বাইরে হতে ফিরবো মনের গহীনে

 

বারো.

বিবাদের ষাঁড়
 

আমি কেউ না
আসলে,আপনিও কেউ না?
তাহলে আমাদের মধ্যে একটি জুড়ি আছে - বলুন না!

 

আমার ঘৃণা করার সময় ছিল নাকারণ
কবর আমাকে বাধা দিত,
আর জীবন এতটা পর্যাপ্ত ছিল না যে
শত্রুতা শেষ করতে পারত

 

কিংবা ভালোবাসার সময়ও আমার ছিল না
তবে থেকে কিছু শিল্প হতে হবে,
ভালবাসার ছোট পরিশ্রমআমি ভেবেছিলাম,
আমার জন্য যথেষ্ট বড় ছিল

 

আমি একটি কালো সমুদ্র লাফিয়ে প্রশস্ত হতে শিখেছি
প্রতিহত করতে সাইকোপ্যাথিক চিন্তাভাবনা

 

ইতিহাসের লজ্জার ঝুঁকির বাইরে গিয়ে দেখুন
শ্রদ্ধার সাথে যুক্তির মূল বিষয়গুলি ভাবুন
ধারণার একটি সত্তা বিবাদ থেকে বুড়ো ষাঁড়ের 
ধারাবাহিকতার যে পরিবর্তনতার অভিযোজন করুন 
নিজেই টেরপাবেন অস্তিত্ব সংকটের মধ্যে রয়েছেন,
আত্মবিলাপের ঘোর কেটে গেলেই সেরে উঠবেন


সৈয়দ তৌফিক উল্লাহ

Comments System

blogger/disqus/facebook

Disqus Shortname

stullah

Social Link

জনপ্রিয় পোস্টসমূহ

Column Left

Column Right

Videos

ছবিঘর

সাম্প্রতিক লেখা

Philosophy of totality: Feelingism

42

সমসাময়িক বাংলা সাহিত্যে প্রতিষ্ঠানবিরোধী লিটিলম্যাগাজিন সাহিত্যেচর্চার মতাদর্শ│ সৈয়দ তৌফিক উল্লাহ


লিটল ম্যাগাজিন আন্দোলনের সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য হ'ল প্রথাবিরোধী প্রচলিত চিন্তাভাবনা এবং ধারণার বিরুদ্ধে এর দৃঢ় অবস্থান।এই ধরণের প্রকাশের মূলমন্ত্রটি হ'ল পুঁজিবাদকে এড়িয়ে বাঙলা সাহিত্যে এক অভূতপূর্ব নতুন প্রবণতার সাহিত্য গড়ে তোলা।লিটল ম্যাগাজিন আন্দোলনের সাহিত্যিকরা প্রতিষ্ঠান ও বাঙলা সাহিত্যের নৈরাজ্য ফরমায়েশী সাহিত্যচর্চ্চার বিরুদ্ধে তাদের কণ্ঠস্বর উত্থাপন করেন।

বাঙলা সাহিত্যে ছোটকাগজের সাহিত্যে আন্দোলনে সাময়িকী নিবেদিত সাময়িকী দিয়ে সাহিত্যের প্রতিষ্ঠা এবং ক্ষয়িষ্ণু সমাজের সবচেয়ে শক্তিশালী প্রতিষ্ঠানের নগ্নপুঁজিবাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করে। লিটল ম্যাগাজিন আন্দোলন বাঙলা সাহিত্যে,যা সারা বিশ্বে বাঙালির জন্য তাদের পরীক্ষামূলক অ-বাণিজ্যিক সাহিত্যের প্রকাশের মাধ্যমে তাদের নিজস্ব দর্শন, স্বাধীনতা এবং নৈতিকতায় প্রচলিত মানদন্ডকে প্রত্যাখ্যান করে বাংলা সাহিত্যের ভাব ও ভাষা প্রয়োগে, লেখকদের শব্দ প্রয়োগে, ভাবনার বিমোচনে, প্রথাভাঙার প্রবণতায়,পরীক্ষা-নিরীক্ষা, নতুন উদ্ভাবন এবং চিন্তাভাবনায় এখন অত্যন্ত প্রভাবশালী ভূমিকা পালন করেছে। সাহিত্যের বিভিন্ন বিষয় তুলে ধরে একেকটি সংখ্যা প্রকাশ, লেখার মান, দর্শন, নিরীক্ষা করে ছোটকাগজের পাঠক তৈরির কাজটি সুন্দরভাবে করে যাচ্ছে।

লিটল ম্যাগাজিন আন্দোলনের সাহিত্যে কৌশলগত লাইন হিসাবে বাঙালি জাতীয়তাবাদী অনুভূতি জাগ্রত করা এবং শব্দ ও ধারণার ব্যবহার, ধারণার ব্যবহার, পরস্পরবিরোধী কৌশলগুলির ব্যবহার সহ নেপোটিজমের বিরোধিতা করছে বিদেশী ফ্যাসিবাদী সাম্রাজ্যবাদের বরপুত্র নগ্নপুঁজিবাদের বিরোধিতা নিয়ত করে যাচ্ছে ভাব ও ভাষা প্রয়োগে, লেখকদের শব্দ প্রয়োগে, ভাবনার বিমোচনে, প্রথাবিরোধীতার স্পর্ধায় বুঁর্জোয়াদের মদদপুষ্ঠ বাঙলা ভাষার বিকৃতি বাঙলা সাহিত্যে কে পণ্যায়ণ কর্মকান্ডের তীব্র প্রতিবাদ এর বিপ্লবী নাম প্রতিষ্ঠানবিরোধীতা তথা ছোটকাগজ মুভমেন্ট।

লিটিলম্যাগ মুভমেন্ট এর মতাদর্শ বিরোধী ঘুরেফিরে গুটিকয় নির্দীষ্ট লেখকের লেখা নিয়ে নতুন নতুন সংখ্যা প্রকাশে বিশ্বাসী নয়, লিটিলম্যাগ মুভমেন্ট প্রতিনিয়ত নতুন নতুন লেখক তার লেখা, চীন্তা-চেতনা বিকশে পরীক্ষা-নীরিক্ষার ও প্রকাশের সুযোগ করে দেয়ায় বিশ্বাসী যশোররোড, বাংলাভাষার প্রথাবিরোধী ওয়েবম্যগাজিন। আশিদশকের পর হতে এমন কোন লিটিলম্যাগ খুজে পাওয়া যাবে না, যে লিটিলম্যাগ রাষ্ট্র ও গণ-আন্দোলন নিয়ে কাজ করেছে। তাদের অধিকাংশই নিজেদের লেখা আর গ্রন্থ সংখ্যা বাড়াতেই তারা আগ্রহী। রাষ্ট্রচীন্তা, সামাজিক অসংগতি-আন্দোর,প্রতিবাদ, ইতিহাস বিষয়ে লেখক/ সম্পাদকেরা লেখার চেয়ে মিনমিনে সাহিত্য রচনায় আগ্রহী বিধায় লিটিলম্যাগ মুভমেন্ট থমকে আছে।

কারন সাহিত্য সৃষ্টির সময় যে দিকটায় বেশী নজরদারি করার দরকার, তা হোল-

১। সাহিত্যিকের সামাজিক দায়ীত্ব -সাহিত্যের শিক্ষা, সাহিত্যের অন্তর্নিহিত গভীর বক্তব্য, যা পাঠককে ভাবতে বা সিদ্ধান্ত নিতে সাহায্য করে।

২। সাহিত্যের সমকালীনতা -সাহিত্যে সমকালীন সময়ের সামাজিক, রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক পরিস্থিতির ঈঙ্গিত থাকা উচিত । যা পাঠকের মনন জগতে উত্তরণের অনুপ্রেরনা যুগাবে ।

৩। সাহিত্যের সর্বকালীনতা - সাহিত্য এমন ভাবে তৈরী হওয়া উচিত , যাতে যে সময়েই তা পাঠকের সামনে আসুক না কেন, পাঠক তার নিজের চারধারের উদ্ভুত পরিস্থিতির সঙ্গে মিলিয়ে নিতে পারে ।

৪। সাহিত্যের সার্বজনীনতা- সাহিত্যের এই ধর্মটা আবশ্যিক। কারন সাহিত্যের এই ধর্মটা না থাকলে সাহিত্য একপেশে হয়ে পড়তে বাধ্য। সমাজের সর্বস্তরের মানুষের কথা, তাদের পাওয়া না পাওয়া, তাদের সুখ দু:খ, আনন্দ বিষাদ তথা ব্যথা বেদনা, প্রতি নিয়ত তাদের সামাজিক- অর্থনৈতির অবস্থান ও তার প্রভাবে তাদের মানসিক জগতের কাঙ্খিত পরিবর্তনই, সাহিত্যিক তার সাহিত্যের মধ্যে প্রকাশ করে ; আর সেই প্রকাশের আলোয় পথ দেখতে দেখতে সমাজের সর্বস্তরের মানুষ আলোকিত হয় , বিপথগামীরা সংযত হবার চেষ্ঠা করে, বিপদগ্রস্থরা নির্দেশিত পথে এগিয়ে যাবার জন্যে সংঘবদ্ধ হবার সাহস পায় ।সমাজ জন্জাল মুক্ত হয় ।


সাহিত্য সাহিত্যের মত চলবে, মানুষকে নিজের মানোন্নয়ন ঘটিয়ে সাহিত্যের স্বাদ গ্রহন করতে হবে । সাহিত্যিক কেন তার সাহিত্যের মানের অবনতি ঘটাতে যাবে ? তাদের চিন্তাধারায় তারা হয়তো ঠিক, কিন্তু তাদের এই মতামত এটাই প্রমান করে যে, তারা সার্বজনীন নয় । তারা সাহিত্য রচনা করেন সংখ্যালঘু এক বিশিষ্ট সম্প্রদায়ের জন্যে, তারা সাহিত্য রচনা করেন হাততালি কুড়ানোর জন্যে, সাধারনের জন্যে নয় । এহেন বিপথগামীতার জন্যেই আজ বিদ্দ্বজন সাহিত্য ও ব্রাত্যজন সাহিত্য বোধের তথা সাহিত্যের বিভাজন । অর্থাৎ কিনা পণ্ডিতের জন্যে পণ্ডিতের তৈরী পণ্ডিতের সাহিত্য, আর সমাজের তলানিতে তলিয়ে যাওয়া সাধারনের সৃষ্ট সাধারনের জন্যে সাধারনের সাহিত্য । সাহিত্যের বুকেও তাই চলছে সাম্প্রদায়িক লড়াই ।


মোদ্দাকথা, দেশে দেশে জনশিক্ষার সঠিক বিকাশ না হওয়ার ফলেই, মানুষ সমাজটা সাহিত্যের জগতেও বিভাজিত হয়ে পড়েছে । সাহিত্য সমাজের বেশীরভাগ মানুষের বোধদম্য হচ্ছে না ,আবার কারোকাছে গ্রহনযোগ্য হচ্ছে না। সাহিত্যের সুদূর প্রসারী ফল সাধারনের মধ্যে বন্টিত হতে পারছেনা ।মধ্যপন্থী বাহাদুর বিদ্দ্বজনরা নিজেদের বাজার দর বাড়ানোর সুযোগ পাচ্ছেন, প্রশাসনের মতো তেনারাও নিজেদের বিক্রী দর তৈরী করতে পেরেছেন ও পারবেন বলে ভাবছেন। দায়িত্বজ্ঞানহীন এহেন সাহিত্যিকরাই আসলে সমাজ জীবনের বোঝা, এদের সৃষ্টি মানুষের জন্যে নয় তাদের নিজের জন্যে । সার্বজনীনতা গুন না থাকায় তাদের সৃষ্টি সামাজিক দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ । সাহিত্যিককে এদিকেও নজর দিতে হবে
সাহিত্যিককে এদিকেও নজর দিতে হবে।

Randomposts