Post Bottom Ad

Untitled-1.png

সাম্প্রতিক লেখা

অনুভূতিবাদ




অনুভূতিবাদ


অনুবন্ধ অনুভব:

অনুভূতি জীবন বিষয়ক অনুসন্ধান নীরিক্ষা জীবনের সমাজের প্রেক্ষাপটে করতেগিয়েবিভিন্ন সময়েবিভন্নরকমকাঙ্খিত অনাকাঙ্খিত আচরন, বিতর্কিত মানুষের সাথেচলাফেরা করেছিহয়তকখনোকখনোবা বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষের অভ্যাস, মনস্বত্ত্ব, আচরনকেসমানভূতি দিয়েঅবধারণা, ব্যক্তিগত জীবনে, আচরনে, অভ্যাসে ক্ষেত্র বিশেষেনিজেরউপর।তারপ্রয়োগ, অভ্যস্ত হবারচেষ্টাসহ লাল-নীল-হলুদ প্রভূতসমাজে, পেশায়অনুসন্ধিৎসু দৃষ্টিভঙ্গি দিয়েপদ্চারণা পর্যলোচনা করতে গিয়ে সেই২০০০সনেঘরপালিয়ে পকেটেপনেরটাকানিয়ে"রিযিকের মালিকআল্লাহ" সারসত্যটুকু যাচাইয়ের জন্য অবৈধভাবে ভারতেপ্রবেশকরিএবংচিত্রশিল্পী ঋষিকেশহালদার(বর্তমানে প্রয়াত) এরসহচার্যে অবস্থান করেছিলাম কয়েকদিন। এছাড়াও নানাসময়েকখনওসংবাদকর্মী, ধর্মপ্রচারক, তরুনলেখক, আলোকচিত্রী, চিত্রশিল্পী হবারব্যর্থচেষ্টা করেছি।উন্নয়নকর্মী হিসাবেদেশেরপ্রত্যন্ত অঞ্চলথেকেপ্রধানঅঞ্চলেছুটেবেড়িয়েছি মানুষের ঝুঁকিপূর্ণ আচরন, অভ্যাসপ্রত্যক্ষণ করবারজন্যবর্তমান আইনপেশায় সৃজনশীলভাবে প্রযুক্তিয়ানের স্বপ্নদেখা, অনুভূতির অংশহিসাবেঅপরাধমূলক আচরন যুব সমাজের মনস্তাপ, সাইবারক্রাইমনিয়েব্যক্তিগতভাবে তথ্যসংগ্রহকরছি। অনুসন্ধান এরই চলমান প্রক্রিয়া, অনাহূতআমারএইআচারণযাসমাজেরসকলেরকাছেকখনবৈচিত্রপূর্ণ্য, কখনঅনাকাঙ্খিত সবারকখনওপাগলামী মনেহতেপারেবাহয়েছে। কারণে চারপাশের পরিচিতি মানুষের কাছেভিন্নভিন্ন সমালোচনা, প্রতিক্রিয়ার সম্মুখিন হয়েছি, মনভেঙেগেছেতবুওআমারজীবনেরমৌলিক একমাত্র উদ্দেশ্য অনুভূতির পর্যবেক্ষণ থেকে পথভ্রষ্ট হয়নি।এখনওনিজেরজীবনেরবিভিন্ন অবস্থার প্রেক্ষিতে একইসময়ে অবস্থায় ভিন্নভিন্ন আচরন এর প্রয়োগ করেফলাফলপ্রত্যক্ষণ করছিযাআমারকাছেকাঙ্খিত কিন্তুঅন্যেরকাছেকাঙ্খিত নাওহতেপারে।এমনওআচরনকরেছিযে, আত্মহত্যার অনুভবপ্রচেষ্টায় ব্যক্তির মনস্তাপ কেমনথাকেতারঅন্বেষনে নিজেইদুইবারপ্রচেষ্টা করেছি; একবারদড়িকেটেপরিবারবর্গ নামায়, অন্যবার ঘুমেরঔষধেররেশকাটাতেগলায়আঙুলদিয়েবমিকরায়।এছাড়াও সম্পর্ক, প্রেম, বন্ধুত্ব, পরিবার, ব্যক্তিগত জীবন, আচরনসহপ্রভূতবিষয়েভিন্নভিন্ন আচরণেরঅনুভবপ্রয়োগ করেছি।আর চলমান পরীক্ষায় অর্জনকিছুটাহলেওহারিয়েছি অনেকমুহুর্ত, আবেগ, বন্ধুত্ব সম্পর্ক, অর্থ, সময়।আরএরপ্রভাবসবচেয়ে বেশিবিব্রতকরেছেআমারপরিবারবর্গ স্বজনদের
·          
মানুষগুলো আমাকেআমারআবেগকেআমারশক্তিতে রূপান্তর করতেনিয়তসাহসজুগিয়ে চলেছেন।)


অনুভবক্রম :

    চিদ্রূপ :
    চিদ্রূপ :
    চিদ্রূপ :
    চিদ্রূপ :
    চিদ্রূপ :
    চিদ্রূপ :
    কবিতাজীবন কবি : অনুভূতিবাদ
    চিদ্রূপ :
    এটি কল্পিত অবধারণগতিচিত্র:
 আদম যখন ঈশ্বর




চিদ্রূপ :

যাহবারতাহবেই

যাহবারনয়তাকখনওহবেনা

যখনহবারকথাঠিকতখনইহবে

এরএকমুহূর্ত আগে পরে হবে না

এমনকিহতেপারতোনা

মানুষের ভবিষ্যৎ বর্ণনার সামার্থ নেই

সেকেবলঅনুমানকরতেপারে!

কল্পনাকরতেপারে।অসম্ভাবী করতেপারেনা

কোন(বস্তু/অবস্তু) কিছুর নির্দিষ্ট কোনমূল্য(ঠধষঁব) নেই

মূল্যনির্ধারিত হয়স্থান, কাল-পাত্র ভেদে ভিন্নভিন্ন

কোনকিছুইএমনকিমানুষপর্যন্ত তারনিজেরসকলকিছুই-যোগ্যতা-অযোগ্যতা, অক্ষমতা, সামর্থ, সম্পর্কে সম্পূর্ণ রূপেঅবগতথাকেনা।সময়ভেদেকাল-কারণ এর উপর, আবহএরসাথেসমন্বিত হয়েতাচিহ্নিত হয়

জড়বস্তু ব্যতিরিক সকলকিছুইঅস্থির,

অস্থিরহলপ্রাণের অন্যতমপ্রধানবৈশিষ্ট্য

অনুভূতি তাকেইন্দ্রিয়গ্রাহ্য, -ইন্দ্রিয়গ্রাহ্য বিষয় সম্পর্কে

সমষ্টিগতভাবে ভিন্নভিন্নচেতনা, অস্তিত্ব, অভিনবত্ব,

ক্রিয়াশীলতা, দূর্বোধ্য/বৈধ্যতার তথ্যপ্রদানকরে

উপলব্ধীর তীব্রতার মাধ্যমে বিভিন্ন বৈশিষ্ট্যের উপস্থিতি জানানদেয়

স্থিরতা অলীকএবংআপেক্ষিক বিষয়।প্রাণহীন, গতিহীন, বৈশিষ্ট্যহীন, নির্দ্দিষ্ট অনুভীতহীনতার অলস-অনড় আত্মসমর্পন। মানুষের ক্ষেত্রে স্থিরতা হচ্ছেহঠাৎথমকেযাওয়াস্পন্দনহীনতা, যাজীবহিসেবেমানুষের বৈশিষ্ট্যের অকার্যকর অবস্থার চর্চাকরা।মানুষইচ্ছেকরলেইস্থিরহতেপারেনা।যেহেতুসেজড়নাএবংযতক্ষনপ্রাণআছে, ততক্ষণসেচেষ্টাকরলেওস্থিরহতেপারেনা।তারশরীরেঅঙ্গ-প্রতঙ্গ, শিরা-উপশিরা একইসাথেথমকেযায়, স্থিরহয়শুধুমাত্র যখনসেমৃত।মানুষের অভ্যন্তরে প্রত্যেকটি বিষয়ের পরিকল্পিত, নির্দ্দিষ্ট কিছুপরিকল্পনা নির্ধারিত হয়েআছেএবংসেইঅনুযায়ী ক্রিয়া-প্রতিক্রিয়া, কার্য-কারন সম্পন্ন হয়।যামানুষের ইচ্ছা-অনিচ্ছার উপর নির্ভর করেনাবানিয়ন্ত্রিত হয়না।সেশুধুস্থিরতার ভানকরতেপারে।যেখানেউক্তভানকেমনোযোগঅর্থেআপেক্ষিক ভাবেস্থিরতা; প্রাণহীনতা-চাঞ্চল্যহীনতার, জড়ত্বপ্রকাশের নামবাশব্দ।যারকোনকার্য-কারন অবস্থা নেই।সেকোনফলাফলএরজন্যদায়ীনয়।মানুষহচ্ছেনতিনি, যিনিঅস্থিরতার বিভিন্ন উপায়, উপকরণ, পারিপাশ্বর্িকতার মধ্যেদিয়েপর্যবেক্ষণ করেন।এইপ্রক্রিয়ার যতটুকুতিনিউপলব্ধী করতেপারবেন, সেইঅনুভীতঅবস্থার ভিত্তিতে গুনাগুন, কার্যকারিতা, কার্যহীনতা, জড়তাসহ নানাবিধ বৈশিষ্টের প্রকাশকরেন।সিদ্ধান্ত গ্রহনকরেন। সিদ্ধান্ত সম্পূর্ণ নির্ভর করে ব্যক্তির অনুভীতঅবস্থা, উপলব্ধীর সামর্থ, পর্যবেক্ষন পদ্ধতিএবংবুদ্ধিবৃত্তি চর্চারকৌশলের্পর।ব্যক্তিভেদে একইবিষয়েভিন্নভিন্নসিদ্ধান্তের প্রকাশঘটেথাকে।যারকোনটাইসুনির্দিষ্ট নয়এবংতানিয়তপরিবর্তনশীল। তারব্যপ্তি, সম্ভাবনা, আচরন, অবস্থান, প্রকাশনা, আকাঙ্খা, আসত্তি, পরিসমাপ্তি, যোগ্যতারীতি স্বত:সিদ্ধ কোন নির্দিষ্টতা নির্মাণে একইথাকেনা

চিদ্রূপ :

জগতেরসকলকিছুইএকইসময়েএকইবস্তুতে দুইটিস্বত্বার অস্তিত্ব বিরাজমান

স্বত্বা দুইটিরআভ্যন্তরীণ ভারসাম্যে ব্যাঘাত ঘটলেঅসঙ্গতির সৃষ্টিহয় জটিল, দুর্বোধ্য করেতোলে

একটিহলঅভ্যন্তরীণ উপলব্ধিগত স্বত্ব, যাপ্রকৃতি দ্বারানিয়ন্ত্রিত একমৌলিকঅবস্থা। অন্যটিহলবাহ্যিক আচরনগতস্বত্বা। যাপ্রতিনিয়তপরিবর্তনশীল, স্থান-কাল-পাত্র-ভেদেপ্রকাশনা রীতি, কার্যকারিতা প্রভাবিত হয়।এইআচরনগতস্বত্বা পরিচালিত হয়বুদ্ধিবৃত্তির মাধ্যমে। বুদ্ধিবৃত্তির বিন্যাস, ব্যপ্তি, গভীরতা, কার্যকরিতা, নির্মীত হয়আভ্যন্তরীণ উপলব্ধিগত স্বত্বা এবংবাহ্যিক আচরনগতস্বত্বার সমন্বয় ভারসাম্য দিয়ে। ভারসাম্যমূলক অবস্থায় হচ্ছেবুদ্ধিবৃত্তি। যেকোনকিছুকরাবাকোনকিছুহতেবিরতথাকারনির্দেশ প্রদানকরে।অভ্যন্তরীণ উপলব্ধীগত স্বত্বা সম্পূরক হয়, পরিবেশ, প্রতিবেশ, প্রকৃতি, জ্ঞান-বিজ্ঞান যা সম্পূর্ণ সত্য, সরল, কিন্তুইন্দ্রিয়গ্রাহ্য নয়ইন্দ্রিনুভূত অবস্থায়। সরলহবারজন্যযেসরল, আচরণেরসমন্বয় দরকারসেইসততাটুকুর অভাবেক্রমশদুর্বোধ্য জটিল অবস্থার প্রকাশঘটে।স্বত্ত্বাধিকারী ভারসাম্যহীনতা বাধাগ্রস্থ হয়।দ্বন্দ্বের উৎপত্তি ঘটে।পাশাপাশি যেকাঙ্খিত বাহ্যিক আচরনহবারকথাছিলতানাহয়েসম্পূর্ণ অন্যরকম ফলাফলপ্রকাশকরে।সৃষ্টিহয়অন্তহীন শূণ্যতার এবংস্বকীয়তার অভাবেপরনির্ভরশীলতার প্রয়োজন। জগৎ- সরল হওয়াইসবচেয়ে দুরূহকাজআরএইসরলকরতেগিয়েসবকিছুজটিলকরেতুলছি।বিষ্মিত হবারজন্যযেসরলতাদরকারতারঅভাবশুধুইন্দ্রিয়ভূত হচ্ছে।আমরাবিষ্মিত হতেভুলেযাচ্ছি

চিদ্রূপ :

সৃষ্টির প্রত্যেকটি কিছুরজন্যপ্রত্যেকটি কিছুইদায়ী...

উভয়েইউভয়েরসারবস্তু ফলাফল

যাতাদেরআলাদাকরেঅন্যটির থেকে, স্বকীয় করেতোলে, গুণ দোষের বৈশিষ্ট্য দানকরেএবংআকৃতিরমাধ্যমে চিহ্নিত হয়।স্বকীয়তা বৈশিষ্ট্য তাদের কার্য-কারনঘটায়।আর সব কিছুই একইউৎসমূলহতেউৎপন্নহয়। উৎসের রহস্যময় চরিত্র উদ্দেশ্যর উপাদান সমূহ প্রত্যেকটিকে প্রয়োজনীয় করেতোলেপ্রত্যেকটির জন্য।আরপ্রয়োজনীয়তা ঘটানোরজন্যমহাজাগতিক এতোআয়োজনএতোমহাজাগতিক রহস্যময়তা

কেনএইআয়োজন?

কেনইবা উদ্দেশ্যর উৎসমূল জন্ম নেয়?

কেনজন্মদেন ?

আরজন্মদেবারপরকেনমৃতু্যবাধ্বংসের বাফলাফলের প্রক্রিয়া ঘটান? প্রত্যেকটিই কি প্রক্রিয়াধীন?

তবেকিপ্রাণীজগৎএরবাইরেযেবস্তুসমূহ(যেমন- গ্রহ, নক্ষত্র, আকাশ, ভূমি, মিল্কওয়ে) তথা মহাজাগতিক বিন্যস্ত-অস্তিত্বগত সবের প্রত্যেকটি বস্তুসমপ্রক্রিয়ার গুনাগুন বহনকরে? যদিবহননাকরেতবেতাদেরউৎসমূল উদ্দেশ্য ভিন্ন ভিন্ন হত।এটাযদিভিন্নভিন্নহয়তবেএসবকিছুএকইসময়েউৎপন্নহয়না।যেহেতু সবের নির্দিষ্ট উদ্দেশ্য প্রয়োজনীয়তা বাআবশ্যকতা এইআয়োজনপ্রক্রিয়ার অংশনাহয়, তাহলেকোনফলাফলঘটবেনা।ফলাফলসবকিছুরমূল্য(ঠধষঁব) দানকরে।মূল্যহীন কোনকিছুইপ্রয়োজনের উপাদানহতেপারেনা।আরএটানাহলেআয়োজনসম্পূর্ণতা পায়না


অর্থাৎএসবকিছুরযখনফলাফলপ্রয়োজনের অংশএবংএকইউৎসহতেপ্রক্যেকটি উৎপন্নতাইএরাপরিপূরক, তাইসবকিছুএকইস্বার্থে, একইসময়ে, একউৎসহতেএকইপ্রয়োজনে কার্য-কারন সম্পন্ন করবে।অন্যথায় উদ্দেশ্যের ব্যাঘাত ঘটবে। মহাজাগতিক আয়োজনের উপাদান সমূহ পরস্পরপরস্পরের প্রয়োজন এরবিপরীতে প্রতিক্রিয়া প্রকাশকরবে বিঘ্ন ঘটাবে

যেহেতুসৃষ্টির প্রত্যেকটির নেপথ্যে একইনির্দিষ্ট উদ্দেশ্য রয়েছেতাইএকইউৎসমূলহতেসকলমহাজাগতিক উপাদানসমূহউৎপন্নহয়একইসময়েএকইপ্রয়োজনে সকলের মৌলিক ফলাফলসমমূল্যমানের এবংউভয়ইউভয়েরজন্যদায়ী।উৎপন্নপ্রত্যেকটির উৎসমূলএকইএবংএইচিরস্থায়ী উৎসকখনইউদ্দেশ্যের অংশহতেপারেনা।তাইএটাআয়োজনপ্রক্রিয়ার কেন্দ্র এবংনেপথ্যে যিনিউদ্দেশ্যে করেনতারনিজস্বঅংশ।যাপ্রক্রিয়ার অস্তিত্ব আয়োজনের সারবস্তু (ঝঁনংঃধহপবং) আকার (ঝযধঢ়ব) প্রদানকরে

আরসমগ্রমহাজাগতিক বস্তু অবস্তু সম্পর্কে চৈতন্যের বোধায়ন দ্বারাপ্রক্রিয়ায় অস্তিত্বশীলতা অনুভূতহয়।বৈশিষ্ট্য তদসংশ্লিষ্ট বিষয়ে অবধারণা, জ্ঞানঅর্জন, রূপান্তর, স্থানান্তর সমন্বয় প্রভৃতির জন্যমৌলিকএককমাধ্যমে হলঅনুভূতি, যাসকলইন্দ্রিয় অতিন্দ্রীয় সামর্থের অন্তফল হচ্ছে অনুভূতি। ভাব, ভাবনা, প্রকাশ, ধারণা, বৈশিষ্ট্য- মূল্যায়নের, ধারনায়ন, অস্তিত্বায়ন, পার্থক্যয়ান, স্বতন্ত্রয়ান এতসমূহেরসমষ্টিক সংরাগএবংসম বিপরীত অবস্থার ভারসাম্যই অনুভূতিবাদের সারকথা। অনুভূতিবাদ জাগতিক মহাজাগতিক সকল বিষয়ে বিস্মিত জিজ্ঞাসার উত্তরআবিস্কার করেএবংকার্য-কারণ জগতে অন্তফলের মূল্যায়ন প্রকাশকরে

চিদ্রূপ :

এইঅনুভূতির চারণক্ষেত্র, লালনক্ষেত্র হচ্ছে"জীবন", জীবনছাড়াঅনুভূতি, অনুভূতিছাড়া জীবনদুটোইঅসম্ভব। জীবনকেগভীরভাবে উন্মোচিত, উপলব্ধিত নাকরতেপারলেজীবনেররহস্যময়তা, সরলতাবাস্তবতা বোঝাযায়না

একটিমানুষতারনিজস্বপ্রকৃতিগত স্বাভাবিকতা, অস্বাভাবিকতা দিয়েএকেভোগকরে।সেজীবনেরকতখানিউপলব্ধি করে? এইউপলব্ধিগত বিবর্তন-স্পর্শিত, জাগৃতহয়নতুননতুনধারণাপায়এবংজীবনেরএইঅংশেঅনেকনতুনকিছুরআবিস্কার বুঝতেপারাসম্ভবহয়।জীবনঅনেকঅংশেসার্বিকতার, যাসামগ্রিকতা প্রকাশকরে।বিচিত্রতা, রহস্যময়তা এরস্বভাবজাত বৈশিষ্ট্যবোধের প্রবণতার কারণেস্বকীয়তার জন্যএকেকজনএকেকভাবে চিন্তাকরেপ্রকাশকরেন।তাইএরসামগ্রিকতায় প্রাণথাকে। জীবন যখন বোধগম্য তখনএটিমনুষ্যজীবন মনেহয়।সম্ভবনা জাগায়জাগরণের। অন্যান্য প্রাণীদের সাথে, জড়বস্তুর সাথে, মানুষের পার্থক্য এখানেই। জীবনতাইএতবেশীদ্বিধা-দ্বন্দ্বের, হঁ্যা-না', করব- করবনা', হবে-হবেনা' তথা ভিন্নমুখীভাবে একটিমুদ্রার বৈশিষ্ট্যর মতএপিট-ওপিট করে চলে।আর কারণে একজন জীবনটাকে যেভাবেদেখেঅন্যজনসেভাবেনাওদেখতেপারে।জীবনভোগেরব্যাপারে একইপ্রক্রিয়া দেখাযায়।মতপার্থক্য শুধুমাত্র দৃষ্টিগত উপলব্ধির জন্যঘটেএরকতকটুকু সার্থকতা পায়আবারকতটুকুপায়না। এই'পায়না' কেঘিরেপ্রশ্নউঠেকেনপায়না, তখনসৃষ্টিহয়হতাশার

জীবনঈশ্বরের মতইসত্য

যাকেধরাযায়না, দেখাযায়না, ছোঁয়াযায়না, বোঝাযায় অনুভূত দৃষ্টিভঙ্গি দিয়ে

ঈশ্বরহচ্ছেমানবিক-মানসিক মস্তিষ্ক-চিন্তার এমনএকঅবস্থা, যেখানেপরিতৃপ্তি, পরিত্রাণ, আত্মরক্ষার এবংপরলৌকিক সুখ-স্বাচ্ছন্দের সান্ত্বনা অন্বেষণ করে। এটি বোধেরবিপ্লবী বিবর্তন। সত্য-মিথ্যা অলীক এখানে।চেতনার অবস্থার পরিবর্তন করা যায় না।প্রত্যেকের নিজেরজন্যএকইঈশ্বরকে একএকগুণ রূপে আরাধনা করেন- কামনাকরেন

আরজীবনেরউপলব্ধিত অনুভূতির অনুসন্ধান করতেগিয়েতারঅনুভূতউপলব্ধির সমপর্যায়ের বর্ণনাউপস্থাপিত করেনবোধে।সাথেসাথেজীবনেরচলমানরূপেরঅনুভব প্রকাশের পাশাপাশি জীবন কেমন হতেপারত! কিভাবেহলেহতেপারত! যেরকমহওয়াউচিতছিল! সেরকমহয়েছেতাওঅনুভবকরেন, প্রত্যক্ষ করেনএবংদৃশ্যকল্পের সমপ্রসারণ করেন

বস্তু্তুত মনহচ্ছেমানবিকমূল্যবোধের অধিকার অঙ্গীকার। মূল্যবোধ হচ্ছে আত্মা। আত্মারচারপাশে বিকিরণের কেন্দ্রভূত সার্বিকতা, আপেক্ষিকতা, উৎস, আবর্তিত উন্মোচনে পরিবেষ্টিত আবয়বইমন।তাইআত্মাবামনএকবস্তুনয়।মনেরউৎপত্তি আত্মাথেকে।আত্মাহচ্ছেপ্রকৃতির অনুভূতঅংশেমনোগতসংবেদসৃষ্টিকরেমানবিকগতিরবিনিময়ে


মন, শরীর বাহ্যিক প্রকৃতি থেকে উপকরণ সংগ্রহকরেআত্মারকাছেপেঁৗছেদেয়।মনেরনিজস্বকোনউপলব্ধি নেই।সেশুধুআত্মারবাহক, তথ্য- উপাত্তসংগ্রহকারী অবস্থা। এক্ষেত্রে মূল্যায়ন কার্যক্রম তথাযাচাই-বাছাই, হঁ্যা-না সকল সিদ্ধান্ত গ্রহণেআত্মাকে সহায়তা করেযেঅবস্থাসেটিবিবেক।এক্ষেত্রের নানাবিধ কার্য-কারণগত সৃষ্ট সমস্যাপরিলক্ষিত হয়।আত্মাপ্রশমিত হয়েনিজেকেযখনব্যপ্তির দরজারদিকেনিয়েযায়তখনমনঅনুভূতির তীব্রতা বুঝতেপারে।এটিআবেগেরউপশমগতপ্রদাহ। আবেগেরউৎপত্তি-তীব্রতা, মন আত্মার সংমিশ্রন, সংঘটনবাসংঘবদ্ধতা এবংসংবেদনথেকে

মনপ্রকৃতি থেকেউপাত্তসংগ্রহকরে
আত্মাসেগুলোকে ধারণকরে
বিবেকতারপর্যালোচনা করেবিচারকরে

অনুভূতি, হচ্ছেপ্রকৃতির অংশজীবনঅংশগুলোর লালন-পালন, নির্দেশনায় ন্যাস্ত থাকেমানুষ
এইমানুষবিন্যস্ত হয়মন, আত্মা বিবেকদ্বারা

একজনধনবানের দু: আরো প্রাপ্তির। একজনমধ্যবিত্তের দু: হাহাকার ভরাক্ষিধের। প্লেটভর্তিখাবারের থালাআরপূর্ণিমাভরা চাঁদপাশাপাশি রাখলে'মানুষ' খাবারের প্লেটতুলেনেবেমানুষবলে।খাবার মানুষ উভয়ই ব্যবহারগত অর্থেপরিচিত, এখানেকোনমরীচিকা নেই।যেমানুষচাঁদতুলেনেবেসেমানুষহলেওমানুষনা।জীবনেরসকলবোঝাপড়াগুলো যদিনিজেরসাথেমিলিয়ে সিদ্ধান্তে যাওয়াযায়, তখনঅনুভূতির দায়-কমে গিয়ে দায়িত্বে রূপনেয়।সাধারণ -সাধারণের পার্থক্য এটাই।জীবনেরব্যপ্তিবোধ, পরিসীমা, নির্ধারণ, ভঙ্গিএকএকসময়েএকএকরকমের অস্তিত্ব কখনওলোপপায় না।স্থানপরিবর্তন করেমাত্র।এইসকলকিছুরসার্বিকতাই মিলে'জীবন'

জীবনকোনএককঅস্তিত্ব নয়, অনেকঅস্তিত্বের একতাই

অস্তিত্ব হলমানবিকতার শৈলী, শিল্পবোধের পরিচয়। মৃতু্যজীবনেরশরীরিরূপকেরস্থানপরিবর্তন, অস্তিত্বের নয়
এটিরূপান্তরিত হয়মাত্র।স্থানচু্যত অন্যআকারধারণকরেআবর্তিত হয়।এরকোনপরিসীমা বাবিনাশনেই

শুধুমাত্র অনুভূতিগত কারণেঅস্তিত্বের এতভিন্নতা এততীব্রতা
তাইবলাযায়অনুভূতিবাদ, জীবনেঈশ্বরেমতইসত্য

অনুভূতিবাদকে এককথায়নির্মাণ এবংসংজ্ঞায়িত করাসম্ভবনয়।তবেভাবাযেতেপারেএদেরনিয়ে।দৃষ্টিভঙ্গিমূলক, আচরনগত, জাগতিক, ইন্দ্রজাল, প্রত্নসত্ত্বা, বিজয়ী-হতাশাসহ সর্বক্ষেত্রে অনুভূতিবাদ এর উপস্থিতি। জীবন, প্রকৃতি থেকেআলাদাকিছুনয়।এটিপ্রকৃতির, মৌলিকতার, বহুমাত্রিকতার, উপলব্ধিত শ্রেষ্ঠ অংশ, যাকেআমরাঅনুভূতিবাদ বলছি

অনুভূতি' মাধ্যমে জীবনের বহুমাত্রিক রূপেপ্রকৃতি এবংপ্রকৃতিতে জীবনবহি:প্রকাশের, চৈতন্য লাভ করে
এইসমগ্র-দর্শনের, সম্বন্বীত উপলব্ধিত অবস্থার পরিচয়করিয়েদেয়অনুভূতি
অনুভূতিহীন দর্শন, প্রাণহীন অস্তিত্বের শামিল

চিদ্রূপ :

সবকিছুরঅস্তিত্বায়ন হচ্ছেঅনুভূতির গতিবিনিময়পরিবর্তনের মাধ্যমে। পরিবর্তনের উৎপত্তি গতিময়তার সাথে ভারসম্যপূর্ণ চিরন্তন ঐক্যআরবিপরীতমূখি অন্তফলের মিলনযানিখুত।অর্থাৎউপলব্ধির নির্দিষ্ট কিছুএকইসময়েভিন্নভিন্নদিকহতেঅবস্থানগত, দৃশ্যগত, ঐক্যবদ্ধতা বাতৈরীময়তার দরুনবিভিন্ন বৈশিষ্ট্য প্রকাশিত হয়।বর্তমানকালই বৈশিষ্ট্য নির্দিষ্ট করে; যাক্ষনস্থায়ী এবংভবিষ্যৎ ঠিককরেএরউত্তরবর্তী অবস্থান

এইপ্রক্রিয়ার মিথষ্ক্রিয়া অবর্তিত হয়গতিময়তার দরুন
প্রকৃিতর সবচেয়ে সরলসারসাত্য হচ্ছে'গতি'

সৃষ্টিশীলতা, স্বতন্ত্র, সৃজনশীলতা আরকিছুইনয়এইগতিরচলমানপ্রক্রিয়া। বর্তমানে যেটাবৈরীসেটাঐক্যবদ্ধ, যেটানিখুতএখন, সেটাসুসংগত, সেইসুসমানজস্যহীন কারণগতিরপরিবর্তনশীল বৈশিষ্ট্য যাকখনওনির্দিষ্ট নয়এবংচিরন্তন। এরপ্রত্যেকটি অবস্থা, অবস্থান, আত্মপ্রকাশ, পরিবর্তন, বৈশিষ্ট্য নির্ধারণ, সম্বাভনা, ক্রমবিকাশ যাপ্রত্যেকটির স্বতন্ত্রত নিজস্ববিকাশনিয়মরয়েছে। এগুলোপরস্পরনির্ভরশীল এবংউদ্দেশ্যমুখী অভিব্যক্তির আপতনেগড়া

সবকিছুমূল্যায়িত হয়মনোগতসংবেদদ্বারা। গতিরক্রমবর্ধমান আচরণেদ্রুতি, পরস্পরসম্পর্কের বিষয়গত সহজাতরূপ, অবস্থান প্রকাশকরে।ক্রিয়া-প্রতিক্রিয়া নির্ধারিত হয়অনুভূতির অনন্তপ্রক্রিয়ার মাধ্যমে যখনবিষয়আকারেঅন্তঃসম্পর্ক উপস্থাপিত হয়।অন্তঃসম্পর্ক হলএকঅস্থিরঅবস্থাযাপূর্বনিয়ন্ত্রিত; পরস্পরনির্ভরশীল, বিষয়মুখী, কার্য-কারণ সস্পর্ক এবংঅন্তর্নিহিত পরমশূন্যঅবস্থাথেকেপরমাত্মায় প্রত্যাবর্তন করেঅনুভূতহয়, মনোগতযুক্তিসহ প্রকাশিত বাউপস্থাপনে। তাইকোনকিছু(বস্তুগত-অবস্তুগত) সম্পর্কে নিশ্চিত করেকিছুনির্ধারণ করাযায়না।কেননাগতিরদ্রুতির দরুন সংবর্ধন পরিবর্তনে সমগ্র প্রকৃতির পরস্পরবিরোধীবৈশিষ্ট্য চরিত্রে এটা অনন্ত। সর্বত্র অপরিবর্তনীয়সমুহ আন্ত:সম্পর্কিত এবংপরস্পরযোগসূত্র রয়েছে। মূল্যায়নের একমাত্র-উপস্থাপনার, পর্যবেক্ষণ, নির্ধারণ, নির্ণয়ন, বিন্যাস, নির্দিষ্টকরণ, গুণ-ধর্ম প্রকাশ; অবস্থান তথাপ্রতিভূ পরিমান গুনের অস্তিত্বশীল অধিকারের উপলব্ধি সহজতরঅবস্থার প্রতিস্থাপন ঘটায়মনোগতঅনুভবেজীবনেরআত্মপ্রকাশে সারগতভাবেই পরমশূন্য, প্রকৃতি, পরমাত্মা, গতি, পরিবর্তন, দ্বন্দ, জীবন, মন, প্রণালী, ফলাফল, স্থানান্তর, পরিবর্তন নির্ভরশীলতা, প্রতিপাদন ক্রিয়ার চৈতন্য, অভিব্যক্তির বিশ্লেষণ বিন্যাস এর মূল কারণঅনুভূতি। অনুভূতি ছাড়াবোধায়ন সম্বভনয়।কার্য-কারণ ছাড়া কোনকিছুইহয়নাএরভিত্তিই অনুভূতি

প্রত্যেকটি কিছুরজন্যকিছুনাকিছুদায়ী। দায় পূর্বনিয়ন্ত্রিত, সংক্রিয় বিপরীতমূখি সার্বজনীনতা শুধুমাত্র প্রতিস্থাপিত স্থানান্তর-পরিবতর্ীত হয়। সবকিছুর নির্দিষ্ট অন্ত:ফল রয়েছেএবংএগুলোপরনির্ভরশীল আবর্তনীয় একঅবস্থা

অন্ত:সম্পর্কিত প্রতিটি মুহুর্তের সম্বন্ধে প্রতিটি মুহুতের্া অবধারনার সূক্ষ-পরিশীলিত অস্তিত্বচৈতন্যের অনুধাবন অবস্থাহচ্ছেঅনুভূতিবাদ। অবস্থাসমূহ মানুষের কাছেবোধহয়জীবনএরমাধ্যমে। মানুষমনোগতঅবধারনদ্বারা সেইবোধেরউপলব্ধি অনুভবকরে, বৈশিষ্ট্য নির্ণয়করে চেতন-অবচেতনে, দৃশ্যগত-অদৃশ্যগত মূল্যায়নে অনুভূত করে

চিদ্রূপ :

ইন্দ্রিয়গত উপলব্ধির সামার্থই অনুভূতি;

একইবস্তু অবস্তু সম্পর্কে সম-সময়ে ভিন্নভিন্ন স্বতন্ত্র অবস্থাবাভাবতৈরিহয়।কেননাএটানির্ভরকরেযেঅনুভূতির সামর্থের উপর, তাইএকইসময়েএকইবিষয়েএকইকিন্তুভিন্নভিন্ন উপলব্ধির জন্ম। অনুভূতিবাদ প্রক্রিয়াটির আচরন প্রকাশনির্ভরকরেবস্তু অবস্তুর অবস্থার সম্পর্কে জ্ঞান, মানুষের জীবনেরঅভিজ্ঞতার ভারসাম্য স্থাপনে, ক্রিয়াকলাপের ধরণ, চাহিদা অনুভূত বোধায়ন দ্বারা। অনুভূতির পুরোব্যাপারসমূহের পুরন, পুরোব্যাপার সমূহেরগুণ-ধর্মের তথা সামগ্রিক বৈশিষ্টের অস্তিত্বায়ন, প্রতিস্থাপন, স্থানান্তর করেবিষয়সম্পর্কে আমাদেরজ্ঞাতাব্য তথ্যপ্রদানকরে।সমস্তইন্দ্রিগুলোর ক্রিয়া-প্রতিক্রিয়ার মধ্যস্থতা ভারসাম্য স্থাপনকরে বোধায়ন সম্পন্ন হয় অনুভূতির সঞ্চারণে। এইসঞ্চারণ সামর্থহচ্ছেঅনুভূতির গতিবিনিময় ক্রিয়া পর্ব।আমাদেরচারপাশের সসীম-অসীম, বস্তুগত-অবস্তুগত সর্বপরি সমগ্রজগৎটাকে আমরাযেমনবোধায়নে অনুভূতির সঞ্চারণ করেমহাজগৎকেউপলব্ধি করিযা; আসলেওজগৎটাতেমনই

আবারকখনওকখনওমনেহতেপারেপুরোপ্রক্রিয়ায় আমরাভুলতথ্য চরিত্র পেতে পারি।কেননাএটানির্ভরকরেআমাদেরমনোগতঅবস্থার উপর।আমাদেরমন, মেজাজ, স্বাস্থ্য এরসুস্থ্যতা অসুস্থতার উপর। তাই একইবিষয়েভিন্নভিন্ন ভাবেসমসময়ে ভিন্নভিন্নঅবস্থাঅবলোকনকরি

অনুভূতি হচ্ছেমানবেরইন্দ্রিয়গত প্রতিরূপের অন্তর্বস্তু যাঅপরিবর্তনীয়। তাইঅনুভূতি আমাদেরঅভ্যাসগুলো অবস্থার উপর নির্ভরকরে এবংসেটায়উপলব্ধির বোধায়ন বিদ্যমান থাকে।আবারঅনেকসময়কিছুসম্পর্কে আরোবেশিতথ্য, বোধায়নে পেতেসাহায্য করে।মানুষআপতদৃষ্টিতে শুনতে-বোধ করতে, স্পর্শকরতে, দেখতে- পারেএকটিনির্দিষ্ট সীমা-পর্যায় পর্যন্ত কিন্তু সসীমতা-অসীমতা নিরাকার অবিনাশী অবস্থা অবধারণের প্রকৃতবোধায়নসীমা আমাদেরইন্দ্রিয়গত অতিক্রমে বাধাগ্রস্থ হয়।কারণপূর্বনিয়ন্ত্রিত অবস্থাযেটাকাযর্-কারণ বা উদ্দেশ্য নির্ণয় করেআমাদেরএকটিনির্দিষ্ট সীমায়আবদ্ধরেখেছে। মানুষের সীমালংঘনের সামর্থনাই

অনুভূতি হচ্ছেমানবেরইন্দ্রিয়গত প্রতিরূপে, ইন্দ্রিগুলোর ক্রিয়া-প্রতিক্রিয়ার মধ্যস্থতা ভারসাম্য স্থাপনকরে বোধায়ন

চিদ্রূপ :

                      কবিতাজীবন কবি : অনুভূতিবাদ

সাধারণমানুষের জীবন জাগতিক যে অভিজ্ঞতা আছে।কবিদেরও সেটাআছে।সাধারণমানুষের জীবন জাগতিক যে সকলঅভিজ্ঞতা নেইসেটাওকবিদেরআছে।কবিদেরকাছেজীবনেরসাধারণজ্ঞানের সাথেসাথেআত্মারসকলউপাদানের অভিজ্ঞতা অর্জিতহয়অনুভূতির মাধ্যমে। তাঁরগতিময়সৃজনশীলতার প্রতিবন্ধকতা গুলোকেসরিয়েদিয়েসৃষ্টিকরেনসুন্দরআরসংহতিরসাবলীলভারসাম্য। প্রদানকরেনশাশ্বতঅনুভূতির উপলব্ধি। তাঁরচিন্তাধারাকে, জীবনবোধকে, অস্তিত্বের সংরাগকে অভিনবত্বের উপস্থাপনায় তুলেধরণসত্যেরসৌকার্য অনুভীত শৈলীর সুক্ষ্মতায়। দর্শনের দীপ্তীময়তা আরনান্দনিক অম্লানঅর্ঘ্যদিয়েনির্মাণ করেনবোধেরমন্দির। স্রষ্টার আসনেবসেস্বকীয় অনুভবের জীবনবোধের দর্শনেকথাবলছেনঅথচবলছেনসকলমানুষের মনেরকথাযাআত্মাকে সমৃদ্ধকরেপাশাপাশি সুউচ্চআদর্শের পথেএগোবারনির্দেশনা দানকরেন
একমাত্র কবিইজীবনেরঅন্যতমশ্রেষ্ঠ দার্শনিক
সেসকলকালএবংঅস্তিত্বের দ্রষ্টা তাঁরপক্ষেসাধারণমানবিক-জাগতিক জীবনকে শুধুমাত্র উপলব্ধিত উপকরণছাড়াঅন্যকোনগুরুত্ব বহননাওকরতেপারেন
সেসমগ্রসত্যেরপ্রেমিক
জ্ঞানের প্রতিপ্রেম, জীবনেরপ্রতিজিজ্ঞাসু দৃষ্টি, যাতাকেশাশ্বতসত্যেরআলোরনির্দেশনা দেবে।যেআলোতেকোনঅন্ধকারের আশাংকানেই।কবিকোনক্রমে অসত্যকে গ্রহণকরবেননা।সেঅবশ্যইসংযমী উচ্চাকাঙ্ক্ষী হবে। আত্মার যেশক্তিতে অস্তিত্বের জীবনের, অনুভূতির। আচরণের, শ্বাশ্বত্য সত্যেরযথার্থসত্যঅনুধাবন করাসম্ভব।যেশক্তিঅনুভীতঅস্তিত্বের নৈকট্যে এবংসাদৃশ্যে ভাস্বর, জীবনবোধের সম্মেলনে প্রজ্ঞা এবংযথার্থতার জন্মদান করে, সেশক্তিঅনুভীতউপলব্ধির সম্যকসন্ধানী যতক্ষণনাপর্যন্ত সকলঅস্তিত্বের মূলকউপলব্ধি করতেসক্ষমহয়ততক্ষণসেশক্তিতথাকবিরঅন্বেষীত অনুভবের বিরামনেই।তৃপ্তহয়নাসেশক্তি

কবিরাউত্তমচরিত্রের মাধ্যমে আমাদেরসুক্ষ্মগতির অন্বেষণ করেন। চরিত্রে মহৎ আত্মকরণ থাকবে।এইমহৎআত্মকরণ নিয়েসেসকলঅস্তিত্বের সন্ধানে নিয়োজিত হবে

কবিত্বের প্রধানলক্ষ্যশুধুকবিতাচর্চানয়।অনুভূতির সম্পূর্ণতা অর্জনের চেষ্টাকরা।প্রত্যেক সত্তারমধ্যেউত্তমএবংঅধমেরঅস্তিত্ব রয়েছে। স্বভাবতই কবিদেরপাশাপাশি -কবিদের অস্তিত্ব থাকবে।এটাইসার্বজনীন

প্রকৃতকবিসেইযেজীবনেরপ্রতিটি মুহূর্তের অস্তিত্বের সত্তাকে উপলব্ধিত করতেসক্ষম।যারজীবনবোধের অনুভীতঅভিজ্ঞতা নেইসেপ্রকৃতকাব্যচর্চা করতেঅক্ষম।এইঅক্ষমতার অনুপাতে আরযাইহোকসেকবিহতেপারেনা।এটাযতখানিউপলব্ধিত ততখানিঅস্তিত্বগত স্বর্গীয় সহায়তা প্রাপ্ত। স্বর্গীয় সহায়তা একমাত্র ঈশ্বরের মনোনীত ব্যক্তিগণের উপরন্যাস্ত হয়।মানুষের এইক্ষুদ্র জীবনেএটাকেপুরোপুরি আত্মস্থ করাএকমাত্র অলৌকিকসহযোগিতা ছাড়াপ্রায়-সম্ভব। এমন কিছুব্যক্তি এমনলক্ষকেসাধনকরতেচায়, যেলক্ষ্যতাদেরসাধ্যের উধের্্ব। ফলেসংখ্যাহীন অসঙ্গতীর কলঙ্কলেপনকরে।সার্বজনীন নিন্দার পাত্রকরেতোলেপুরোকবিসমাজটাকে। এই-কবিদের ভিড়ে প্রকৃতকবিগণনীরবএবংনি:সঙ্গ জীবন যাপনকরে।কামনাকরে-কবিত্বের সস্তা ফাঁদের স্রোতেভেসেনাযান।জাগতিকঐন্দ্রজালের স্পর্শশূন্যহয়েজীবনউপভোগ ধারণ করেন, নিজস্বনিয়মে

আরতাইতাঁরাউপলব্ধি করতেপারেনঅনুভূতির পূর্ণাঙ্গ পাঠেমুলসত্যেরঅন্বেষণে। তাঁরামানুষের মতজীবনকেআচরণকেবিন্যস্ত করবেননা, জড়িতকরতেচাইবেননানিজেদেরকে এতেবিস্মিত হবারকিছুনেই

প্রকৃতকবিগণজাগতিকজড়তারশৃঙ্খলমুক্তস্বশাসিত, কৌতূহলী, ক্ষেত্র বিশেষেউদ্বেগহীন এবংপ্রশ্নবিদ্ধ একনিজস্বজগতেরমধ্যেবসবাসকরে।নিজেরপ্রয়োজনমত এরনির্মাণ পুননির্মাণ করেন। অচঞ্চল মূল্যবোধে আস্থারগভীরসুরতাদেরকণ্ঠেউচ্চারিত হয়।তারানিজেরাই নিজেদের ভাগ্যের নিয়ন্তা হয়েওঠেনঅনন্তকোনকোনক্ষেত্রে

সবকবিরইএকইনিজস্বযুগরয়েছে

রয়েছেনিজস্বকিছুরীতি, কিছুউদ্ভাবনী আরকিছুনির্দেশনা। সমকালহচ্ছেসর্বদাই দুর্বোধ্য যুগ।প্রকৃতকবিরাচিন্তাররাজ্য নিয়ন্ত্রণে চিৎকারকরেন, ঘৃণাকরেন, তাঁরালালনকরেননিজস্বএকান্তজীবনথেকেনেওয়াঅনুভীতপরীক্ষা-নিরীক্ষা চালাননতুনআবিষ্কারের, বিচারের, প্রগতির, পরবাস্তবতার, লৌকিকতার, আধ্যত্ম অনুসন্ধানের ধ্বংসের। সৃষ্টির সুরধ্বনিতহয়তাদেরকবিতায়। জীবন কবিতার সমন্বিত অনুভবের উপলব্ধিহীন কবিকেকতটুকুআসলেকবিবলাযায়।যেখানেতারাবিবর্তনের নিষ্ক্রিয়তার জন্যউন্মুখ, পরাজয়ে পরিতৃপ্তী, নিস্পৃহা, দার্শনিক আরাধনায় ঔদাসীন্য সহপ্রভৃতআচরণদ্বারা নিজেদের বাঁচাতে সর্বদাপ্রচলিত নিয়মেআবদ্ধহয়েপড়ে।নিজেদের সন্তুষ্টির জন্যমনস্ততত্তের্ব বিমূর্তয়ান ঘটায়।আরএদেরভিড়েপ্রকৃতকবিগণঅদ্ভুত, রহস্যময় আরঅপরিচিত হয়েউঠছেন।এইরহস্যময়তা বাঅস্বাভাবিকত্বের মূলযাইহোকনাকেনএইহালেরপ্রদর্শনী প্রক্রিয়ায় এরস্থায়িত্ব সাময়িক কারণপ্রকৃতপাঠককখন কখন দ্বীধাগ্রস্থ হয়েপড়লেওকালেরসন্ধিক্ষণে এসবধোপেটিকবেনা। দ্বীধাগ্রস্থহীন এইসময়টা"ভয়ঙ্কর অস্বাভাবিকত্ব" রূপে জীবনবোধের অন্তর্দৃষ্টি কামনাকরে।বর্তমান কালেরপ্রধানসুরবলেসাধারণত স্বীকৃত পরিচিত এই অস্বাভাবিকত্ব এবংঅচেনারঅনুভূতির সঙ্গেযেবিভ্রান্তি, নৈরাশ্য এবংটানাপোড়ন অবিচ্ছেদ্যভাবে জড়িততারসাথেসাথেপ্রতিটি ক্ষেত্রে আজএকটাব্যাপকঅন্তমর্ূখিনতার প্রবণতাও যুক্তহয়।এইঅনীস্বীকার্য যেসময়েরমধ্যেদিয়েবহুলাংশে যেমনোভাবপ্রকাশিত তাঅসহনীয়, বেদনাতুর এবংসুতীব্র যাসহ্যকরাযায়না।কবি, কবিতা, জীবনএরঅনুভবহীনতা যতক্ষণপর্যন্ত থাকবেততক্ষণঅস্তিত্বের দর্শনদুর্বহচিন্তার ভারবহনকরবে।কবিতারক্ষেত্রে যখনঅস্তিত্ববোধহীনতার সঙ্গেজীবনেরউপলব্ধিত অনুভবহীনতা জড়িতহয়আরকাব্যচর্চার মুখ্যমোহতখনসেইসব-কবিগণ প্রকৃত কবি কবিতার দিকে সতৃষ্ণ, লোভাতুর, অনুকরণে ঝাঁপিয়ে পড়ে।নিজেদেরকে অবলুপ্তির হাতথেকেরক্ষাকরবারজন্যপ্রাণপণ দিয়েএকইজায়গায় নিজেকেপ্রতীক্ষার চেষ্টাকরে, জায়গাটা অপরিচিত হবারদরুণএমনএকটাজায়গায় এসেপেঁৗছায় যাইতোপূর্বে কখনভাবেনি। সেবর্তমানে কোথায়সেবোধপর্যন্ত অবলুপ্ত হয়েযায়।অগত্যসকলমৌলিকতাকে কঠোরভাবে অবদমিতকরেএবংঅনুরূপভাবে সববিচার-বিবেচনা বিসর্জন দিয়ে নিজেকে কৃত্রিম আবরণেচকমকিকরেসস্তায় উপস্থাপন করে।ব্যক্তিগত বিচারবুদ্ধি এবংঅনুভূতির ধ্বংসকরেসস্তায় বাজারজাত হবারপদ্ধতিসহজহওয়ায় অধিকাংশ ব্যক্তি কবিহতেগিয়েতারাআপনসত্তাসম্পর্কে সকলপ্রকারবোধেরশূন্যতায় পর্যবসিত হয়েগতিহীনঅনড়হয়েপড়ছে
প্রকৃতকবিগণ, জীবনেরক্ষণিকতা, ভঙ্গুরতা, অনিশ্চয়তা এবংঅনুভূতির উপলব্ধিত জগৎ_ মানবিক প্রচেষ্টার পরিপূর্ণ পাঠএরঅনুসন্ধান করেন কখনতাইবিদ্রোহ করেন নিজেরউপরনিজেপরীক্ষা-নীরিক্ষা চালাতেউদ্যতহনসহানুভূতিশীল সাম্যকথা, আবিষ্কার, প্রতীকী উপস্থাপন, কামনারক্রোধ, উচ্ছাসের তাগিদে উদ্ভাবন করেফেলেনসংঘাতবিক্ষুব্ধ যুক্তিহীন একখেয়ালী জগৎ সেজগতেরচারপাশে হঁ্যা-না এর দ্বন্দ্ব, যুদ্ধ, যৌনতা, বিপ্লব, চরমবিপর্যয়ের আসন্নআভাসছাড়াওএবংমানবিকতাবাদ, ভাববাদ, হতাশাবাদ তাঁর অন্তর্নিহিত সহজাতক্ষমতা, যুক্তিবাদ, আস্থা-ভাবনার দর্শনে অনুভূতির স্তরেস্তরেপরমাত্মার উপস্থিতি আস্বাদন করেন আরকবিতাহয়েওঠেকবিরঅন্তরের গভীরতমসত্তারআলোড়িত আশাবাদ আমাদেরযুগের, সম্ভাবনা সময়ের প্রতিশ্রুতি জীবনেরনবরূপায়ণ


চিদ্রূপ : 7(b)
আদম যখন ঈশ্বর

আমার অংশগুলোটুকরো টুকরো
শব্দগুলো ব্যবচ্ছেদেবিপন্ন বিলুপ্তপ্রায়
ভাষা বির্নিমাণেরপ্রয়োজনে জরুরী হয়ে ওঠে
ভাব বিনিময়নগদায়নে খরচের খাতায়
সব কিছু ফিরে যাবে মূলে সেই শূন্যে!
তবু কেন না যাবার বাহানায়মেতে উঠি?

আমি জানি আমার অজানা অদেখা
আমার মতো অন্ধকার আলোর শহুরে একা।
হতবিহ্বল একা াসীম এক অন্য আমি সেই শূন্যে!
যে আমি স্বং ঈশ্বর তাঁর নিজ আদলে আদম বানালেন
যে আমায় সেজ্দা করেছিলো ফেরেছতাকূল।

আমিতো ঈশ্বর নই!
ঈশ্বরের মতন কেউ আদম আদলে
ফিরে যাবে মূলে, সেই শূন্যে!
তবে আমিতো ঈশ্বর নই?
তবে কেন ঈশ্বর মনে হয়!

ঈশ্বর নিজ আদলে আদম বানালেন, মানুষ আদলে নয়।
আদমের বাম পাজরের হাড় দিয়ে সঙ্গী বানালেন হাওয়া, নারী নয়।
আমি আদম! আমি শুধু পুরূষ কিম্বা শুধু নারী নই!
আমার সঙ্গীওনা। তবে কেন আমাদের নারী পুরূষ হিসাবেভাগ করো
নিজেরা কি দেখনা নিজেদের এক একটা নামে বাজারেতোল?
আমাদের যেদিন ফিরে যেতে হবে মূলে, সেই শূন্যে!
কাকে আমারা প্রশ্ন করবো? কার কাছে? কে দেবে এর উত্তর?

দয়া করে এখন থেকে শুধু পুরূষ কিম্বা শুধু নারী বলে ভাগ'না করে
আদম বলে ডেকো! নইলে আদম ঈশ্বর হয়ে উঠলে
তোমরা কাকে ব্যবচ্ছেদ করে নারী পুরূষ বলবে?
আর না পারলে শুধু মানুষ বলে ডেকো!

আমি আদম, আমিও ঈশ্বরের মতো দয়াময়!
আদম যে তাঁর আদলেই সৃষ্টি!

তবে আমি আদম কেন ঈশ্বর নই?
তবে কেন নিজেকে ঈশ্বর মনে হয়!

আর তোমাদেরআজাজীল এর মতো শুধু পুরূষ কিম্বা শুধু নারী বলে ভাগ করার জন্য শয়তান বিশেষণদিয়ে তাড়িয়েদেবো আদমের সাম্রাজ্য থেকে।

ঈশ্বর বলে না ডাকতে পারলে শুধু মানুষ বলে ডেকো!
শুধু নারী কিম্বা শুধু পুরূষ বলে ডেকো!
নিশ্চয় মানুষেরজন্য আদমের নিদর্শন রইলো।

১৮.১২.১১
অনুভূতিবাদ:সৈয়দ তৌফিক উল্লাহ


কোন মন্তব্য নেই:

Comments System

blogger/disqus/facebook

Disqus Shortname

stullah