Post Bottom Ad

Untitled-1.png

সাম্প্রতিক লেখা

শেষ অধ্যায়ের পর্যবেক্ষণ : সৈয়দ তৌফিক উল্লাহ




শেষ অধ্যায়ের পর্যবেক্ষণ : সৈয়দ তৌফিক উল্লাহ



আমার পাঁজরের অপরাধময় বাতাস প্রায় বন্ধ যে কোনও  সময় সূর্যের মত অস্তাচলে ঢলে পড়বে, 
প্রিয় পাঁপের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করা হয়নি, আবার গণনা করে আবিষ্কার করছি বুক-পাঁজরের কয়টি ছিদ্র, জরায়ুর কয়টি পাঁজর জুড়ে তার জিভ প্রসারিত করে,কব্জির হাড়ের স্তূপ এবং কয়েকটি মেরুদণ্ডের একটি খুলি।

রাতের বেলায় খুলির অক্ষটি নিষ্পত্তির প্রাচীনতম গ্রাফিতির চোখ নিয়ে নিচ্ছীদ্র পড়ে থাকবে।যখন সমস্ত কিছু শীতল হয়ে এসেছিল, আলিঙ্গনের জন্য আমার হাত খুললাম,তার ঘ্রাণের গন্ধ পাবার সম্পূর্ণ ব্যার্থ চেষ্টা করছি নিজেকে শান্ত রাখার প্রত্যাশায়।

সংকুচিত শিকড়ের চেয়ে পুরানো বাস্তববাদী একটি কফিন অপেক্ষারত, আমার সমস্ত সম্পত্তি, বই, পড়ার টেবিল-চেয়ার, এ্যাশট্রে সব  নির্বাক হয়ে পড়েছে, দেখছে আমি আর কবিতা পড়ার অপেক্ষায় নেই, আমি প্রস্তুতি নিই নির্জন কফিনে শুয়ে কবরের নীচে শয্যাশায়ী হবার শবযাত্রার, আমার দুইহাত থেকে উভয় পাশের আঙুল সমেত নখেরাও জানে যে আমার অন্তহীন বৃত্তের  সময় শেষ

আমি কিন্তু জানিনা, কীভাবে শুরু হয় কবরের নীচে জনাকীর্ণ দীর্ঘ ঘন্টার পর ঘন্টা, প্রশ্নোত্তর-জিজ্ঞাসার উত্তর পর্ব? দেহের হাড়েরা  অনার্য ছিল আমার আট কুঠরী নয় দরজায়, এরপরে স্যাঁতসেঁতে হাড়গুলি সাজিয়ে সবচেয়ে অপরিহার্য বাঁচার মিথ্যে নেশা  লুণ্ঠন করে রূহু, অজ্ঞতার বাইরে অভিনয়ে কাটিয়েছি সর্বদা আমার জীবনকালে, যেতে হবে জেনেও প্রস্তুত হইনি কতটা না নির্বোধ ছিলাম?

শেষবার  অতীত যেন মিটিমিটি হেসে দূর হতে সূর্যের ছত্রাকযুক্ত ক্ষত থেকে কেবল আমার পতন পর্যবেক্ষণ করে।  অথচ একদা আমি বাড়ারবাল হরিদাস পাল হয়ে ছড়ি ঘুরাতাম। ধরারে করতাম না সরা জ্ঞান, মানুষ তুমি শুধুই মাটির খেলনা বিশেষ, মেয়াদ ফুরালেই তুমি নেই, একদা ছিলে হয়ে যাবে।


19/03/20


কোন মন্তব্য নেই:

Comments System

blogger/disqus/facebook

Disqus Shortname

stullah